আরএমআই নির্দেশক তৈরি করেন রজার অল্টম্যান। ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এটা "টেকনিক্যাল এনালাইসিস অফ স্টক এ্যান্ড কমোডিটিস" ম্যাগাজিনে উপস্থাপিত হয়। এই নির্দেশকের প্রধান উদ্দেশ্য হলো মূল্য যখন ওভারসোল্ড/ওভারবোট অঞ্চলে পৌছায় তখন আরএসআই নির্দেশকের প্রদানকৃত তথ্যের সংশোধন করা।
সূত্র
RMI = 100 * N / (H + B), যেখানে
N – দিনের সংখ্যা;
H – N দিন পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত প্রিয়ডের ধনাত্মক ক্লোজিং প্রাইসের ওঠানামার যোগফল;
B – N দিন পূর্ব থেকে আজ পর্যন্ত প্রিয়ডের ঋণাত্মক ক্লোজিং প্রাইসের ওঠানামার যোগফল।
লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার
প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণের মৌলিক অসসিলেটর হিসাবে আরএমআই নির্দেশক একজন ব্যবহারকারীকে লেনদেনের ক্ষেত্রে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো সনাক্ত করতে সহায়তা করে:
১. হাই এবং লো
নির্দেশক যখন নিম্নমুখী হয়ে 70% লেভেলে পৌঁছায় এবং লেভেলটিকে অতিক্রম করে, তখন এটা একটি গুরুত্বপূর্ণ সংকেত যে মূল্য আরও নিচে নেমে যেতে পারে। এক্ষেত্রে, মেটাট্রেডারের আরএমআই নির্দেশক ওভারসোল্ড অঞ্চলকে নির্দেশ করে। ওভারসোল্ড অঞ্চলে পৌঁছানোর পর মূল্য আরও কমে যেতে পারে।
মূল্য যখন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে 30% লেভেলে পৌঁছায় এবং লেভেলটিকে অতিক্রম করে, তখন এটা নিশ্চিত সংকেত দেয় যে মূল্য কারেকশন সম্পন্ন করেছে এবং এটা এখন ঊর্ধ্বমুখী হয়ে চলতে থাকবে। এক্ষেত্রে, ক্রয় করা যাবে।
২. প্রাইস প্যাটার্ন
আরএমআই নির্দেশক ত্রিভুজ, পতাকা, হেড অ্যান্ড শোল্ডার ইত্যাদি প্যাটার্ন তৈরি করতে পারে, যা প্রাইস চার্টে অনুপস্থিত থাকলেও একজন লেনদেনকারী এখান থেকে পর্যবেক্ষণ করতে পারবে।
৩. ডাইভারজেন্স/কনভারজেন্স সংকেত
অসসিলেটর হিসাবে এই নির্দেশকটির মাধ্যমে লেনদেনকারীগণ নির্দেশক লাইনের সাথে মূল্যের গতিবিধি তুলনা করে কনভারজেন্স/ডাইভারজেন্স সংকেত পর্যবেক্ষণ করতে পারবে। এই ধরণের সংকেত সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং আরএমআই এই ধরণের সংকেত প্রদান করার ক্ষেত্রে খুবই কার্যকর।
ইন্সটাফরেক্স আরএমআই নির্দেশকের পরিমিতি
RMIperiod = 14
MOMperiod = 5