ব্রিটিশ পাউন্ডের ট্রেডের বিশ্লেষণ এবং ট্রেডিংয়ের পরামর্শ
দিনের দ্বিতীয়ার্ধে যখন MACD সূচকটি শূন্যের বেশ নিচে নেমে গিয়েছিল তখন এই পেয়ারের মূল্য প্রথমবারের মতো 1.2160 এর লেভেল টেস্ট করে, যা পাউন্ডের মূল্যের নিম্নমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করেছিল। এই কারণে, আমি এই পেয়ার বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নেইনি। এর কিছুক্ষণ পরে, 1.2160 লেভেলটি আবার টেস্ট করা হয়, সেসময় MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে প্রবেশ করেছিল, যা পরিকল্পনা #2 প্রয়োগ করে পাউন্ড কেনার সুযোগ তৈরি করে। এর ফলে, এই পেয়ারের মূল্য 40 পিপের বেশি বৃদ্ধি পায়।
বর্তমান পরিস্থিতিতে, পাউন্ডের ওপর চাপ সত্যিই কিছুটা কমে গেছে, তবে এটি মার্কেটের ট্রেডারদের তাদের পজিশন ক্লোজ করার ইঙ্গিত দেয় না। বরং এটি একটি পুনঃসমন্বয় পর্ব হিসেবে বিবেচনা করা যেতে পারে, যেখানে ট্রেডাররা গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে তাদের কৌশল পুনর্বিবেচনা করছে। এরকম ওঠানামা ফিন্যান্সিয়াল মার্কেটে একটি স্বাভাবিক ঘটনা, বিশেষত বড় ইভেন্টের আগে। গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন প্রতিবেদন যেকোন মুদ্রার বিনিময় হারে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলতে পারে, যা ট্রেডারদের কম ঝুঁকি নেয়ার ব্যাপারে প্রভাবিত করে এবং এতে পাউন্ডের ওপর চাপ হ্রাস পেয়েছে।
আজকের যুক্তরাজ্যের কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স বা ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI), প্রডিউসার প্রাইস ইনডেক্স বা উৎপাদক মূল্য সূচক এবং রিটেইল প্রাইস ইনডেক্স বা খুচরা বিক্রয় সূচক দেশটির অর্থনৈতিক নীতিতে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। অর্থনীতিবিদদের পূর্বাভাস বিভিন্ন হতে পারে, এবং প্রত্যাশার তুলনায় প্রকৃত ফলাফল যেকোনো বিচ্যুতি বিনিয়োগকারীদের মনোভাব প্রভাবিত করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, যদি যুক্তরাজ্যের ভোক্তা মূল্য সূচক প্রত্যাশার চেয়ে বেশি হয়, তাহলে এটি সুদের হার হ্রাসের মাত্রা ধীর করার বিষয়ে আলোচনা উত্থাপন করতে পারে। অন্যদিকে, যদি এই প্রতিবেদনে মুদ্রাস্ফীতির পতন নির্দেশিত হয়, তাহলে এটি ভোক্তা ব্যয়ের বিষয়ে আশাবাদ বাড়াতে পারে এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি সম্পর্কে ইতিবাচক ইঙ্গিত দিতে পারে। তবে এটি মনে রাখা জরুরি যে অর্থনৈতিক সূচকগুলো পৃথকভাবে কাজ করে না; এগুলো বেকারত্বের হার এবং জিডিপির মতো অন্যান্য কারণের সাথে গতিশীলভাবে সম্পর্কিত।
দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি মূলত পরিকল্পনা #1 এবং পরিকল্পনা #2-এর বাস্তবায়নের ওপর মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করব।
বাই সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ যখন GBP/USD পেয়ারের মূল্য 1.2270-এর (চার্টে গাঢ় সবুজ লাইন) লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে 1.2215-এর (চার্টে সবুজ লাইন) এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছাবে তখন আমি পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। মূল্য প্রায় 1.2270-এর লেভেলের আশেপাশে পৌঁছালে, আমি লং পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং বিপরীত দিকে শর্ট পজিশন ওপেন করতে যাচ্ছি (উল্লিখিত লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 30-35 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। মুদ্রাস্ফীতির দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে পাউন্ডের দর বৃদ্ধির প্রত্যাশা করা যায়। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার কেনার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্যের উপরে রয়েছে এবং শূন্যের উপরে উঠতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারসোল্ড জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2189-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রেও আমি আজ পাউন্ড কেনার পরিকল্পনা করছি। এটি এই ইন্সট্রুমেন্টের মূল্যের নিম্নগামী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে ঊর্ধ্বমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2215 এবং 1.2270-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দর বৃদ্ধির আশা করতে পারি।
সেল সিগন্যাল
পরিকল্পনা #1: আজ এই পেয়ারের মূল্য 1.2189-এর (চার্টে লাল লাইন) লেভেল ব্রেক করে নিচের দিকে যাওয়ার পর আমি পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি, যা GBP/USD-এর দ্রুত দরপতনের দিকে নিয়ে যাবে। বিক্রেতাদের জন্য মূল লক্ষ্যমাত্রা হবে 1.2141-এর লেভেল, যেখানে মূল্য পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করতে যাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিপরীত দিকে লং পজিশন ওপেন করার পরিকল্পনা করছি (এই লেভেল থেকে বিপরীত দিকে 20-25 পিপস মুভমেন্টের আশা করছি)। বিয়ারিশ প্রবণতার সাথে সঙ্গতি রেখে মূল্য উচ্চ লেভেলে থাকা অবস্থায় পাউন্ড বিক্রি করা উচিত হবে। গুরুত্বপূর্ণ: এই পেয়ার বিক্রি করার আগে, নিশ্চিত করুন যে MACD সূচকটি শূন্য নিচে রয়েছে এবং শূন্যের নিচে নামতে শুরু করেছে।
পরিকল্পনা #2: MACD সূচকটি ওভারবট জোনে থাকাকালীন সময়ে 1.2215-এর লেভেলে মূল্যের পরপর দুটি টেস্টের ক্ষেত্রে আমি আজ পাউন্ড বিক্রি করার পরিকল্পনা করছি। এটি এই পেয়ারের মূল্যের ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার সম্ভাবনাকে সীমিত করবে এবং বাজারদরকে বিপরীতমুখী করে নিম্নমুখী দিকে নিয়ে যাবে। আমরা 1.2189 এবং 1.2141-এর বিপরীতমুখী লেভেলের দিকে এই পেয়ারের দরপতনের আশা করতে পারি।
চার্টে কী আছে:
- হালকা সবুজ লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট ক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় সবুজ লাইন: টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের উপরে আরও দর বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।
- হালকা লাল লাইন: এই ট্রেডিং ইন্সট্রুমেন্ট বিক্রয়ের জন্য এন্ট্রি প্রাইস।
- গাঢ় লাল লাইন:টেক-প্রফিট (TP) সেট করতে পারেন বা ম্যানুয়ালি মুনাফা নির্ধারণ করার জন্য সম্ভাব্য লক্ষ্যমাত্রা, কারণ এই লেভেলের নিচে আরও দরপতনের সম্ভাবনা নেই।
- MACD সূচক: মার্কেটে এন্ট্রি করার সময়, ওভারবট এবং ওভারসোল্ড জোন চিহ্নিত করা গুরুত্বপূর্ণ।
নতুন ফরেক্স ট্রেডারদের জন্য গুরুত্বপূর্ন পরামর্শ:
- মার্কেটে এন্ট্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় খুব সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।
- গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক প্রতিবেদন প্রকাশের আগে, মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে ট্রেডিং না করাই উচিত।
- সংবাদ প্রকাশের সময় ট্রেড করলে, ঝুঁকি কমাতে সর্বদা স্টপ-লস অর্ডার সেট করুন।
- স্টপ-লস অর্ডার বা মানি ম্যানেজমেন্টের কৌশল ছাড়াই ট্রেড করলে আপনার ডিপোজিট দ্রুত শেষ হয়ে যেতে পারে, বিশেষ করে বড় ভলিউমে ট্রেড করার সময়।
- সফলভাবে ট্রেড করার জন্য ট্রেডিংয়ের একটি স্পষ্ট পরিকল্পনা থাকতে হবে, ঠিক যেমনটি আমি এই নিবন্ধে প্রদর্শন করেছি। বর্তমান বাজার পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে ট্রেডিংয়ের স্বতঃস্ফূর্ত সিদ্ধান্ত দৈনিক ভিত্তিতে ট্রেড করা যেকোন নতুন ট্রেডারের জন্য সহজাতভাবে লোকসান বয়ে নিয়ে আসতে পারে।