বৃহস্পতিবারের ট্রেডের বিশ্লেষণ:
GBP/USD পেয়ারের 1H চার্ট
বৃহস্পতিবার GBP/USD পেয়ারের মন্থর দরপতন অব্যাহত ছিল। সামষ্টিক অর্থনৈতিক পটভূমি নির্বিশেষে ডলারের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়া উচিত ছিল। এক ঘণ্টার চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডিং ট্রেন্ড লাইনের নিচে স্থির হয়েছে; এদিকে মার্কেটে ব্রিটিশ পাউন্ড অতিরিক্ত কেনা হয়েছে এবং অযৌক্তিকভাবে ব্যয়বহুল রয়ে গেছে। প্রায় তিন মাস ধরে কোন কারেকশন ছাড়াই পাউন্ডের মূল্য বেড়েছে, এবং মার্কেটের ট্রেডাররা ইতোমধ্যে সকল ধরনের মৌলিক পটভূমিকে পাউন্ডের পক্ষে ব্যাখা করেছে। উপরন্তু, গতকালের মার্কিন জিডিপি প্রতিবেদনের ফলাফলে প্রত্যাশার চেয়ে বেশ উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি পরিলক্ষিত হয়েছে। অতএব, আমরা মনে করি যে মার্কিন ডলারের মূল্য বর্তমানের তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালীভাবে বৃদ্ধি পাওয়া উচিত।
দুর্ভাগ্যবশত, মার্কেটে এই পেয়ার বিক্রি করার তাড়া লক্ষ করা যাচ্ছে না। মার্কেটের ট্রেডারদের মধ্যে এই পেয়ার বিক্রির প্রতি অনীহার চেয়েও সাধারণ ট্রেডিংয়ে নিয়োজিত হওয়ার অনিচ্ছা নয় বলে মনে হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা কম রয়েছে এবং ক্রমাগত হ্রাস পাচ্ছে।
GBP/USD পেয়ারের 5M চার্ট
5 মিনিটের টাইমফ্রেমে ব্রিটিশ পাউন্ডের দুটি সিগন্যাল গঠিত হয়েছে। প্রথমে, এই পেয়ারের মূল্য 1.2913 লেভেল থেকে বাউন্স করেছে, তারপর মূল্য ০1.2860 লেভেলের বাইরে পৌঁছেছে। প্রথম শর্ট পজিশন থেকে প্রায় 25 পিপস লাভ হতে পারে, এবং দ্বিতীয় পজিশন থেকে আরও দশ পিপস অর্জন করা যেতে পারে। বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা এবং মুভমেন্টের ধরন বিবেচনা করে বলা যায়, এই পরিমাণ মুনাফা বেশ ভাল ফলাফল। মন্থর গতিতে পাউন্ডের দরপতন চলমান রয়েছে।
শুক্রবারে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ:
এক ঘণ্টার টাইমফ্রেমে, অবশেষে GBP/USD পেয়ারের ছোটখাটো দরপতনের সুযোগ পরিলক্ষিত হচ্ছে। এই পেয়ারের মূল্য অ্যাসেন্ডীং ট্রেন্ডলাইন অতিক্রম করেছে, তাই আমরা কিছুটা কারেকশন দেখতে পারি। স্বাভাবিক ট্রেডিংয়ের ক্ষেত্রে, পাউন্ডের মূল্য অন্তত 400-500 পিপস কমে যাওয়া উচিত। মার্কেটের ট্রেডাররা সমস্ত বুলিশ ফ্যাক্টর নিয়ে একাধিকবার কাজ করেছে, ডলারের দরপতন হয়েছে, এবং ব্যাঙ্ক অফ ইংল্যান্ড শীঘ্রই সুদের হার কমানো শুরু করতে পারে। ব্রিটিশ মুদ্রার মূল্য বৃদ্ধির চেয়ে দরপতনের কারণই বেশি বলে পরিলক্ষিত হচ্ছে।
শুক্রবার, নতুন ট্রেডাররা 1.2848-1.2860 রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করতে পারে। দুর্ভাগ্যবশত, স্থানীয় পর্যায়ে ঘন ঘন ফ্ল্যাট মুভমেন্টের মধ্যে এই পেয়ারের মূল্যের খুবই দুর্বল মুভমেন্ট দেখা যাচ্ছে।
5M টাইমফ্রেমের মূল লেভেলগুলো হল 1.2605-1.2633, 1.2684-1.2693, 1.2748, 1.2791-1.2798, 1.2848-1.2860, 1.2913, 1.2980-1.2993, 1.3043, 1.3102-1.3107, 1.3145। আজ, যুক্তরাজ্যে কোন উল্লেখযোগ্য ইভেন্ট নির্ধারিত নেই, যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কনজিউমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স বা ভোক্তা অনুভূতি সূচক, ব্যক্তিগত আয় ও ব্যয় এবং পারসোনাল কনজাম্পশন প্রাইস ইনডেক্স বা ব্যক্তিগত খরচের মূল্য সূচ সংক্রান্ত মাঝারি গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে। এই প্রতিবেদনগুলো মার্কেটের ট্রেডারদের সেন্টিমেন্টকে প্রভাবিত করতে পারে, তবে এটি এরকরম অসম্ভব যে আমরা আজ 50 পিপসের বেশি অস্থিরতাসম্পন্ন মুভমেন্ট দেখতে পাব...
ট্রেডিং সিস্টেমের মূল নিয়মাবলী:
1) সিগন্যাল গঠন করতে কতক্ষণ সময় নেয় তার উপর ভিত্তি করে সিগন্যালের শক্তি নির্ধারণ করা হয় (রিবাউন্ড বা লেভেলের ব্রেকআউট)। যত দ্রুত এটি গঠিত হয়, সিগন্যাল তত শক্তিশালী হয়।
2) যদি ফলস সিগন্যালের উপর ভিত্তি করে নির্দিষ্ট লেভেলের কাছাকাছি দুটি বা ততোধিক পজিশন খোলা হয় (যা টেক প্রফিট শুরু করেনি বা নিকটতম লক্ষ্যমাত্রায় পৌছায়নি), তাহলে এই লেভেলে প্রাপ্ত পরবর্তী সমস্ত সিগন্যাল উপেক্ষা করা উচিত।
3) ফ্ল্যাট মার্কেটের সময়, যেকোন পেয়ারের একাধিক ফলস সিগন্যাল তৈরি হতে পারে বা কোন সিগন্যালের গঠন নাও হতে পারে। যাই হোক না কেন, ফ্ল্যাট মুভমেন্টের ইঙ্গিত পাওয়া মাত্র ট্রেডিং বন্ধ করাই ভালো।
4) ইউরোপীয় সেশনের শুরু থেকে মার্কিন ট্রেডিং সেশনের মাঝামাঝি সময়ে ট্রেডগুলো খোলা উচিত যখন সমস্ত পজিশন ম্যানুয়ালি ক্লোজ করতে হবে।
5) আপনি এক ঘন্টার টাইম ফ্রেমে MACD সূচক থেকে সিগন্যাল ব্যবহার করে ট্রেড করতে পারেন, তবে এটি শুধুমাত্র শক্তিশালী অস্থিরতার মধ্যে ব্যবহার করা উচিত এবং একটি স্পষ্ট প্রবণতা থাকতে হবে যা ট্রেন্ডলাইন বা ট্রেন্ড চ্যানেল দ্বারা নিশ্চিত হওয়া উচিত।
6) যদি দুটি লেভেল একে অপরের খুব কাছাকাছি অবস্থিত হয় (5 থেকে 15 পিপস পর্যন্ত), সেগুলোকে সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেল হিসাবে বিবেচনা করা উচিত।
7) মূল্য 15 পিপস উদ্দেশ্যমূলক দিকে যাওয়ার পর, ব্রেক-ইভেনে স্টপ লস সেট করা উচিত।
চার্ট কীভাবে বুঝতে হয়:
সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স লেভেলগুলো হল সেই লেভেল যা কারেন্সি পেয়ার কেনা বা বিক্রি করার সময় লক্ষ্যমাত্রা হিসাবে কাজ করে। আপনি এই লেভেলগুলোর কাছাকাছি টেক প্রফিট সেট করতে পারেন।
লাল লাইন হল চ্যানেল বা ট্রেন্ড লাইন যা বর্তমান প্রবণতা প্রদর্শন করে এবং দেখায় যে এখন কোন দিকে ট্রেড করা ভাল হবে।
MACD নির্দেশক (14, 22, এবং 3) একটি হিস্টোগ্রাম এবং একটি সিগন্যাল লাইন নিয়ে গঠিত। যখন মূল্য এগুলো অতিক্রম করে, সেটি মার্কেটে এন্ট্রির একটি সিগন্যাল। ট্রেন্ড প্যাটার্ন (চ্যানেল এবং ট্রেন্ডলাইন) এর সাথে এই সূচকটি ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা এবং অর্থনৈতিক প্রতিবেদন অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে পাওয়া যেতে পারে এবং এগুলো একটি কারেন্সি পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্টকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতএব, সেগুলোর প্রকাশের সময়, আমরা মূল্যের তীব্র ওঠানামা এড়াতে যতটা সম্ভব সাবধানে ট্রেড করার বা বাজার থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিই।
ফরেক্সে নতুন ট্রেডারদের মনে রাখা উচিত যে প্রতিটি ট্রেড লাভজনক হতে হবে না। একটি সুস্পষ্ট কৌশল এবং অর্থ ব্যবস্থাপনার বিকাশ হল দীর্ঘ মেয়াদে ট্রেডিংয়ে সাফল্যের চাবিকাঠি।